Header Ads

বৈচিত্রময় ঈদ উল ফিতর (পর্ব-১)

ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনে তাদের জীবনের সকল দুঃখকে ভুলে যায় এবং নিজেদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে। ধনী, গরিব সবাই এক মসজিদ বা ঈদগাহে নামাজ আদায় করে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ঈদ বছরে দুইবার উদযাপন করা হয়। যার একটি হচ্ছে ঈদ উল ফিতর এবং অপরটি হচ্ছে ঈদ উল আযহা।

মাহে রমজান মাসের পূর্ণ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে মুসলমানরা ঈদ উল ফিতর এবং জ্বিলহজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখে ঈদ উল আযহা উদযাপন করে। পৃথিবীতে ইসলামের আবির্ভাবের পূর্ব হতেই আরবরা বছরে কয়েকটি উৎসব পালন করতো মুসলমানদের সেভাবে কোনও উৎসবের দিন ছিল না। মুসলমানরা যেন এবিষয়ে হতাশ না হয় এবং তাদেরও যেন আনন্দ করার একটি দিন থাকে সেজন্য আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের জন্য এই দুটি দিনকে উৎসবের দিন হিসেবে নির্ধারণ করে দেন। 

এরপর থেকে মুসলমানরা এই দুটি দিনকে উৎসবের দিন হিসেবে পালন করে আসছে। মোহাম্মদ (সাঃ) এর পূর্বের নবীদের সময়ও তাদের উম্মতদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন উৎসবের দিন ছিল। আবার বর্তমান সময়ে যে ঈদ উৎযাপন হয় তাও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নিয়মে পালিত হয়। আজকে আমরা প্রথম পর্বে ঈদের কালের বিবর্তনের ইতিহাস ও দেশে দেশে ঈদ সম্পর্কে জানবো।

ঈদ অর্থ আনন্দ। বছরের যে নির্দিষ্ট দিনে মানুষেরা উৎসব ও আনন্দের মাধ্যমে তাদের জীবন অতিবাহিত করে সেই দিনকে ঈদ বলা হয়। মোহাম্মদ (সাঃ) তার উম্মতদের জন্য সার্বজনীন ঈদ উৎসবের ঘোষণা দিলেও মুসলমানদের উৎসবগুলো সেই প্রথম দিন থেকেই একই নিয়ম নীতি অনুসরণ করতে পারেনি। কারণ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ভিন্ন ধর্মীয় সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে এই উৎসবে। ঈদ উৎসব বা আনন্দ উৎসবের সূচনা হয়েছে সেই পৃথিবীর জন্ম থেকেই। 

জান্নাত হতে আল্লাহ তায়ালা যখন হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ) কে তাদের পাপের কারণে পৃথিবীতে নামিয়ে দেন। দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমা প্রার্থনা ও কান্না-কাটির পর যেদিন আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আঃ) কে ক্ষমা করেছিলেন সেদিন পৃথিবীতে প্রথম ঈদ উদযাপিত হয়েছিল। হযরত ইউনুস (আঃ) আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণে চল্লিশ দিন মাছের পেটে থাকার পর যেদিন মুক্তি পেয়েছিলেন তার উম্মতরা সেদিনে ঈদ উৎসব পালন করতো। হযরত মুসা (আঃ) যেদিন বনী ইসরাইল সম্প্রদায়কে ফেরাউনের কবল থেকে উদ্ধার করেন, সে দিনটিতে প্রতি বছর তার অনুসারীরা ঈদ হিসেবে পালন করতো হযরত ঈসা (আ) এর অনুসারীরা তার জন্মদিনে আনন্দোৎসব বা ঈদ পালন করতো। আর বর্তমান সময়ে উম্মতে মোহাম্মাদী বছরে দুটি ঈদ উদযাপন করে থাকে।

বর্তমান বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। তবে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়া অঞ্চলে ঈদ উৎসবের মাত্রা বেশী। ঈদ মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলেও বিশ্বের সকল দেশের ঈদ উৎসব একই রকম নয়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নিয়মে পালিত হয় পবিত্র ঈদ উৎসব। আবার দেশ বিভেদে ঈদ উৎসবের নামও বিভিন্ন। ঈদ উৎসবকে ইন্দোনেশিয়ায় হারি লিবারান, মালয়েশিয়ায় হারি রয়া পুয়ামা, ব্রুনাইয়ে সাইদিল ফিতরি, তামিল অঞ্চলে ননবু পিরানাল বলা হয়। এছাড়া ঈদ উল ফিতরকে জাভা এনগাইদুল ফিতরি, সুদানে বোদোরান সিয়াম, তুরস্কে কুচুক ব্যারাম, সিন্ধুতে ঈদ নিমাহ, সেনেগালে কোরেটি, পশতুরো কোসানে হি সুপআকতার, ক্লোয়েশিয়ায় রামজানস্কে বাহরাম নামে ডাকা হয়

তিউনিসিয়ায় লোকজন চার দিনব্যাপী ঈদ উৎসব উদযাপন করেসরকারি ছুটি থাকে দুদিনঈদ উপলক্ষে ঘরে ঘরে বিশেষ বিস্কুট বানানো হয়বাকলাওয়া ও নামের এই বিস্কুট ঈদে খুবই জনপ্রিয় তিউনিসিয়াতেপুরুষরা খুব ভোরে মসজিদে চলে যায় নতুন জামা কাপড় পরে মহিলারা ঘরে নানা ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঈদ উপলক্ষে নাচ, গান চলে দিবারাত্রি ব্যাপীঈদের দিনে একে অপরকে উপহার প্রদান করা ও নাস্তা পরিবেশন করা তাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। 

বড় ও সামর্থবান পরিবারের সদস্যরা সন্ধ্যায় ক্লাবে যায়একে অপরকে পানীয় ও বিশেষ কুকিং পরিবেশন করেমহিলারা পরিবারের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ঘরে থাকেপুরুষ সদস্যরা ঘরে এলে তারা তাদের স্বাগত জানায় ছাড়া পরিবারের সদস্যরা সকলে মিলে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে বেড়াতে যায়।

মিশরে ঈদ উপলক্ষে তিন দিন ব্যাপী উৎসব পালন করা হয় যার মধ্যে এক দিন সরকারি ছুটি থাকে। মিশরীয়রা ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে বিশেষ এক ধরনের স্নাকস খেয়ে থাকে। উৎসবের প্রথম দিনে লোকেরা তাদের প্রতিবেশী ও নিকট আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যায় এবং বাকি দুই দিনে তারা পার্ক, সিনেমা হল, থিয়েটার ও সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যায়। মিশরীয়দের ঈদে ভ্রমণের জন্যসাম আল শেখ একটি বিশেষ স্থান। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে নারী-পুরুষ সবাই ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক পরিধান করে। ছোটরা বড়দের কাছ থেকে এদিনে বিশেষ অর্থ উপহার পেয়ে থাকে। 

ঈদের দিনে মিশরের প্রতিটি বাড়িতে বিভিন্ন পদের রান্না-বান্না হয়ে থাকে। ফাতা তাদের একটি সাধারণ খাবার ঈদের দিনের জন্য। বাদাম দিয়ে তৈরি করা কাহকা এক ধরনের খাবার যা মিশরের সব বাড়িতে দেখা যায়। এছাড়া মিশরীয়দের ঈদ উৎসবের মধ্যে আরও একটি অধ্যায় হচ্ছে টিভি দেখা। তারা টিভিতে ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠান ও সিনেমা দেখে থাকে।

রোজার শেষ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার লোকেরা কেপটাউনের গ্রিন পয়েন্টে সবাই একত্রিত হয়। তারা সেখানে সন্ধ্যার আগে উপস্থিত হয়ে একে অন্যের সাথে কথা-বার্তা বলে ও একে অন্যের খোজ খবর নেয়। সন্ধ্যার সময় চাঁদ দেখা গেলে সবাই ঈদের সংগীত পরিবেশন করার মধ্য দিয়ে ঈদের বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেয়। ঈদের দিনে আফ্রিকানরা নতুন পোশাক পরে নামাজ আদায় করার পর আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের বাসায় ঘুরে বেড়ায়। প্রত্যেক বাড়িতে ঈদের বিশেষ খাদ্য তৈরি করা হয়। যার মধ্যে থাকে বিস্কুট, কেক, সমুচা, পিঠা ও চাটনি।

নাইজেরিয়া ও সেনেগালের মুসলমানরা ড্রাম বাজিয়ে ঈদ উল ফিতরকে স্বাগত জানায়নাইজেরিয়া ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পরিচিতএখানে ঈদ উৎসবে মুসলমানদের সাথে যোগ দেয় খ্রিস্টানরাওহাউসা ভাষায় তারা বারকা দা সাল্লা বলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেখোলা ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেএরপর দেশীয় রীতি-নীতিতে তারা উৎসব-আনন্দে মেতে ওঠেঘরের মহিলারা ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার তৈরি করে। নাইজেরিয়ায় দুদিনের সরকারি ছুটি থাকে ঈদ উপলক্ষে

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব শুরু রমজানের প্রথম দিবস থেকেসৌদি আরবের অনেক অঞ্চলে পুরো রমজান মাস জুড়ে চলতে থাকে উৎসবতবে এই উৎসবের শুরু হয় ইফতারির পর থেকেদিনের বেলায় প্রত্যেকে কাজে কর্মে ব্যস্ত থাকেশাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে অনেক অঞ্চলে এখনো উলুধ্বনি নানান রকমের বাদ্য বাজনা বাজিয়ে ঈদকে স্বাগত জানানো হয়। সৌদি আরবের মক্কায় মসজিদুল হারাম শরীফে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে এক সাথে প্রায় ২০ লাখ মুসলমান ঈদের জামাতে অংশ গ্রহণ করে থাকে। 

সৌদিরা ঈদের নামাজ শেষে ছেলে বুড়ো একে অপরের সাথে তাদের ঐতিহ্যবাহী কোলাকুলি করেবয়স্করা শিশু-কিশোরদের হাতে অর্থ দেয়বাচ্চারা সুদৃশ্য ব্যাগ বহন করেযেখানে অর্থ ছাড়াও থাকে ক্যান্ডি, খেলনা ইত্যাদিঅনেক দোকানদার ঈদ উপলক্ষে বিশেষ চকলেট বিক্রি করেসৌদি আরবের কোনও কোনও অঞ্চলে অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়ে থাকেএর মধ্যে ভাতসহ অন্যান্য খাবার থাকে। 

ঈদের দিন সকালে ঈদগাহে নামাজ আদায় শেষে প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কুশল বিনিময় করা ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গিয়েছে সৌদিদের ঈদ উপলক্ষে সৌদিরা তাদের বাড়িগুলোকে সুদৃশ্য সাজে সাজিয়ে থাকে। ঈদের দিনে সৌদিদের একটি বিশেষ গুন হচ্ছে তারা অভাবীদের মাঝে দুহাত ভরে অর্থ দান করে। ঈদ উপলক্ষে সরকারিভাবে সমগ্র সৌদি আরবের বড় বড় শহরগুলোকে বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তোলা হয়।

তুরস্কে উৎসবের দিনকে সেকার বৈরামী বা রামাদান বৈরামী বলা হয়ে থাকে। ঈদ উপলক্ষে সাধারণত তুরস্কে তিন দিন সরকারি ছুটি থাকে। তিন দিনের মধ্যে প্রথম বৈরামী দিনটি তুরস্কে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দিনে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে পুরুষরা পার্শ্ববর্তী মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। তুরস্কে একটি বিশেষ প্রথা রয়েছে যে সম্মানীয় ও বয়স্করা একজন আরেক জনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তারা তাদের ডান হাতে চুমা খায়। ছোটরা তাদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাড়িতে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যায়। শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় প্রত্যেক বাড়ি থেকে ছোটদের জন্য চকলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি ও বাকালাভা নামের এক ধরনের খাবার প্রদান করা হয়।

ইরান, ইরাক, মিশর, সিরিয়া, জর্ডান, লেবানন, আরব আমিরাত, কুয়েত, বাহরাইন সহ অন্যান্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদ প্রায় একই রীতি-নীতি ও অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশের মুসলমানরা ঈদ উল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার পূর্বে খেজুর খেয়ে মিষ্টি মুখ করে নেয়। সকালে ঈদের নামাজ পড়ার পর সবাই নিকট আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের বাসায় ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যায়। ছোটরা বড়দের নিকট থেকে ঈদের দিনে বিশেষ অর্থ উপহার নিয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঈদ উপলক্ষে ঘোড়া দৌড় খেলার আয়োজন করা হয়।

আফগানিস্তানে ঈদকে খুবই আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়। ঈদ উপলক্ষে আফগানিস্তানে তিন দিন সরকারি ছুটি থাকে। ঈদ আসার ১০ দিন আগে থেকেই আফগানিস্তানের নাগরিকরা তাদের বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে থাকে। ঈদের দিনে আফগানদের বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের খাবার প্রস্তুত হয়। যার মধ্যে থাকে জিলাপি, শোর নাখদ ও কোলচা কেক। ঈদের দিনে ঈদ পালন শেষে সকল মুসলমান একজন আরেক জনের সাথে মিলিত হয় এবং ঈদ মোবারক বলে সম্ভাষণ জানায়। ছোটরা বড়দের নিকট থেকে নগদ অর্থ গ্রহণ করে এবং বড়রা তাদের বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী কিনে দেয়।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ঈদের আগের রাতকে চাঁদ রাত বলে সম্বোধন করা হয়। চাঁদ রাতে ছোট, বড়, বয়স্ক, বৃদ্ধ সহ সবাই বাজারে গিয়ে তাদের সর্বশেষ কেনাকাটা শেষ করে। মেয়েরা এদিন রাতে সবাই মেহেদী পড়ে হাত রঙ্গিন করে ফেলে। ঈদের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার আগে ধনীরা গরিবদের মাঝে সদকা-তুল ফিতর প্রদান করে। ঈদের দিনে সবাই নতুন কাপড় পরে ঈদের নামাজ পড়ার পরে অনেকে কবরস্থানে যায় এবং কবর জেয়ারত করে থাকে। বাংলাদেশ, ভারত. পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলংকায় ঈদের দিনের প্রধান খাবার হচ্ছে সেমাই। এছাড়া মিষ্টি, নুডলস, সুজি, চটপটি, হালুয়া, জিলাপি ইত্যাদি খাবার ঈদের দিনে বেশ জনপ্রিয়। 

বাংলাদেশের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এশিয়ার বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রায় ৩ লাখ লোক এক সাথে নামাজ আদায় করে। ভারতের অনেক দর্শনীয় ও প্রসিদ্ধ স্থান রয়েছে যেখানে মানুষেরা একত্রিত হয়। এই স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে জামা মসজিদ, মক্কা মসজিদ, আশাখাবাদ ঈদগাহ। ভারতের হায়দ্রাবাদে রয়েছে মুসলমানদের জন্য প্রসিদ্ধ অনেক স্থান। ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশে তিন দিন সরকারি ছুটি থাকে। বাংলাদেশ সরকার ঈদকে সামনে রেখে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীকে মাসিক বেতনের সাথে বিশেষ ঈদ বোনাস প্রদান করে থাকে। 

ঈদকে সামনে রেখে এসকল দেশের জনসাধারণ শহর এলাকা থেকে গ্রামে চলে যায়। ফলে শহরগুলো অন্য সময়ের চেয়ে অনেক ফাকা হয়ে যায়। তখন সড়ক ও নদী পথ এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে মাঝে মাঝে দুর্ঘটনার কারণে জীবনহানির ঘটনাও ঘটে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান এই তিন দেশেই ঈদের নামাজ ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হাজার হাজার লোক অংশগ্রহণ করে থাকে। ঈদ উপলক্ষে বড়রা ছোটদের ঈদের বখশিশ প্রদান করে থাকে, যাকে বলা হয় ঈদী। 

ভারতে অনেক মাজার আছে যেখানে ঈদ উৎসবগুলোতে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রধান প্রধান শহরগুলো বর্ণিল ভাবে সাজিয়ে আলোকময় করে ফেলা হয়। পাকিস্তানের পাহাড়ি উপজাতি এলাকায় ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে দেখা যায়।

এরকম আরও পড়ুন:
বৈচিত্রময় ঈদ উল ফিতর (পর্ব-২)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.