শীর্ষ সিরিয়াল কিলার খুনিরা (পর্ব-২)
বিশ্বের শীর্ষ খুনি হিসেবে ধরা হয় সিরিয়াল
কিলারদের। চরম খারাপ চরিত্রের অধিকারী সিরিয়াল কিলার গন
মানুষদের হত্যা করতো হাসতে হাসতে। কোনও অন্যায়ই তাদের কাছে অন্যায় মনে হতো না। বিশ্বের কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের মধ্য থেকে
শীর্ষ ১০ সিরিয়াল কিলার সম্পর্কে আমাদের আলোচনার প্রথম পর্যায়ে
গত পর্বে আমরা তিন শীর্ষ সিরিয়াল কিলার সম্পর্কে জেনেছিলাম। আজ দ্বিতীয় পর্বে আমরা আরও ৪ শীর্ষ সিরিয়াল কিলার সম্পর্কে জানবো।
এলবার্ট ফিস:
কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার এলবার্ট ফিস ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের ইতিহাসে তিনি ধূসর মানব নামে পরিচিত। প্রায় ১০০ শিশুকে নিগৃহীত করা এলবার্ট 'কিলার ওয়ারউলফ অব ওয়েচটেরিয়া' এবং ‘ব্রুকলিনের ভ্যাম্পায়ার’ নামেও পরিচিত ছিল। ৫টি হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ এলবার্টকে গ্রেফতার করলে তিনি ৩টি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। ফিসের লোমহর্ষক স্বীকৃতি আর তার নৃশংসতার বিবরণ যে কারও পক্ষে সহ্য করা কঠিন।
কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার এলবার্ট ফিস ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের ইতিহাসে তিনি ধূসর মানব নামে পরিচিত। প্রায় ১০০ শিশুকে নিগৃহীত করা এলবার্ট 'কিলার ওয়ারউলফ অব ওয়েচটেরিয়া' এবং ‘ব্রুকলিনের ভ্যাম্পায়ার’ নামেও পরিচিত ছিল। ৫টি হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ এলবার্টকে গ্রেফতার করলে তিনি ৩টি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। ফিসের লোমহর্ষক স্বীকৃতি আর তার নৃশংসতার বিবরণ যে কারও পক্ষে সহ্য করা কঠিন।
এলবার্ট ফিসকে তার কারাগারে যখন বিল্লি
গ্যাফফিনি নামক এক ব্যক্তিকে হত্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তখন সে
জানিয়েছিল, ফিস তার কোমরের বেল্টের অর্ধেক কেটে আট ইঞ্চি
লম্বা ছয়টি চাবুক বানিয়েছিল। তারপর সে গ্যাফফিনিকে বিবস্ত্র করে এই চাবুক দিয়ে ততক্ষণ
পর্যন্ত মেরেছিল যতক্ষণ না তার পা ফেটে রক্ত বাহির হয়। সে তার
কান ও নাক কেটে নিয়েছিল এবং চিরে ফেলেছিল তার এক কান থেকে আরেক কান পর্যন্ত। যখন
সে গ্যাফফিনের চোখ তুলে নিয়েছিল তখন
গ্যাফফিন মারা গিয়েছিল। এরপর সে তার পেটের ভিতর ছুরি চালিয়ে দিয়েছিল।
ছুরি দিয়ে বারবার ক্ষত-বিক্ষত করার পর সে গ্যাফফিনের পেটে তার হাত ঢুকিয়ে দিয়ে তার রক্ত পান করেছিল। এরপর সে তাকে কেটে ফেলেছিল দুভাগে। ফিস গ্যাফফিনের নাক, কান ও পেটের কিছু অংশ কেটে তার কাছে থাকা ব্যাগে রেখে দিয়েছিল। সে প্রথমে তার দেহের মাঝ বরাবর নাভির উপর থেকে কেটে ফেলেছিল। এরপর সে তার পা দুটিকে কেটে তার দুই ইঞ্চি পিছনে ছুড়ে ফেলেছিল। সবশেষে ফিস গ্যাফফিনের মাথা, পায়ের পাতা, বাহু, হাত ও পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলেছিল।
ছুরি দিয়ে বারবার ক্ষত-বিক্ষত করার পর সে গ্যাফফিনের পেটে তার হাত ঢুকিয়ে দিয়ে তার রক্ত পান করেছিল। এরপর সে তাকে কেটে ফেলেছিল দুভাগে। ফিস গ্যাফফিনের নাক, কান ও পেটের কিছু অংশ কেটে তার কাছে থাকা ব্যাগে রেখে দিয়েছিল। সে প্রথমে তার দেহের মাঝ বরাবর নাভির উপর থেকে কেটে ফেলেছিল। এরপর সে তার পা দুটিকে কেটে তার দুই ইঞ্চি পিছনে ছুড়ে ফেলেছিল। সবশেষে ফিস গ্যাফফিনের মাথা, পায়ের পাতা, বাহু, হাত ও পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলেছিল।
ফিস পরবর্তী বর্ণনায়
গ্যাফফিনের দেহকে খাওয়ার ভয়াবহ কাহিনী প্রকাশ করেছিল। সে গ্যাফফিনের কান, নাক, মুখ
মণ্ডল, পেট
একটি পাত্রে পানি দিয়ে জ্বালিয়েছিল। দেহের অংশগুলো আগুনের উপর পাত্রে দেওয়ার পর সে
তাতে পেয়াজ, গাজর, শালগম, শাক, লবণ ও গোল মরিচ দিয়ে রান্না
করেছিল। এরপর সে গ্যাফফিনের পিছনের গলার অংশ ভেঙ্গে চুরমার
করেছিল। ভাঙ্গা গলার সেই অংশগুলোকে সে একটি ওভেনে চারটি পেয়াজ দিয়ে রোস্ট করার
জন্য দিয়েছিল। প্রায় ১৫ মিনিট পর তার রান্না সমাপ্ত হয়েছিল। রান্নার সময় একটি চামচ
দিয়ে মাংসকে এমনভাবে নাড়া-চড়া করা হয়েছিল যে, রান্নাটি খুবই মজাদার হয়েছিল বলে ফিস জানায়।
রান্না শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা পর সে মানুষের মাংসের এই খাবার অত্যন্ত
আনন্দ ও তৃপ্তির সাথে খেয়েছিল।
বিচারের সময় ফিসের শারীরিক পরীক্ষা করা
হয়েছিল যেখানে তার চামড়ায় বিশেষ যৌন আনন্দের চাহিদা ধরা পড়েছিল।
আন্দ্রে ই চিকাতিলো:
আন্দ্রে ই চিকাতিলো নামক কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলারের জন্ম ইউক্রেনে। সে বিশ্বে পরিচিত লাভ করেছিল 'বুচার অব রোস্তব' বা রোস্তবের কসাই নামে। তাকে আবার ‘দ্য রেড রিপার’ নামেও ডাকা হতো। নৃশংস এ কিলার ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে প্রায় ৫৩ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করেন এবং তার এসব হত্যাযজ্ঞ ঘটানো প্রক্রিয়াও ছিল চরম নৃশংস। ১৯৭৮ সালের ২২ ডিসেম্বর চিকাতিলো প্রথম হত্যাকাণ্ড ঘটায়। চিকাতিলো মাত্র ৯ বছর বয়সী একটি মেয়েকে জোরপূর্বক একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়। মেয়েটি তাতে বাধা প্রদানের চেষ্টা করলে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার পর চিকাতিলো তার নিজের গোপন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে। আর এভাবেই তার নৃশংস হত্যাযজ্ঞের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়।
চিকাতিলো এরপরের প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডই একইভাবে সম্পন্ন করে। যৌন চাহিদা পূরণ করে যখন তার বীর্যপাত হয়ে যেত তখন সে বাচ্চাদের ছুরি চালিয়ে হত্যা করতো। সে তার বীর্যকে নারী ও বালকদের গায়ে নিক্ষেপ করার পর তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে খণ্ড-বিখন্ড করে হত্যা করতো। সে রেল স্টেশন ও বাস স্টেশনে ঘুরে বেড়াতো এবং বিভিন্ন নারী ও বালকদের প্ররোচিত করতো তার সাথে যাওয়ার জন্য। এরপর পার্শ্ববর্তী বনে সেই সকল নারী ও বালকদের মৃতদেহ পাওয়া যেত। সে পতিতা ও ভবঘুরে প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের টাকা ও মদের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে নিয়ে যেত। তারপর সে তাদের গোপন স্থানে নিয়ে যেত এবং তাদের ধর্ষণ করার পর হত্যা করতো। সে যেসকল শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা করতো তাদের মধ্যে ছেলে-মেয়ে উভয়ই থাকতো। শিশুদের সে তার সাথে নিয়ে যেত চকলেট ও খেলনা দেবার প্রলোভন দেখিয়ে।
১৯৮৮ সালে চিকাতিলো মহিলা সহ নয় ব্যক্তিকে হত্যা করে।
১৯৯০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সে সাতটি বালক ও দুটি মহিলাকে হত্যা
করে। পুলিশ চিকাতিলোকে সন্দেহভাজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পর সে জোর করে
এক শিশুকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে সে সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
১৯৯২ সালের ১৪ এপ্রিল তার বিচার শুরু হয়। বিচারের
রায় মোতাবেক এই কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারকে ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা
হয়।
জোয়াসিম রোল:
রোল ছিল জার্মানির কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার। সে ‘রোহর ক্যানিভাল, ও ‘ডুইসবার্গ ম্যান-আতের’ নামে বেশী পরিচিত ছিল। তাকে ৮ জনকে হত্যার বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়, তবে ধারনা করা হয় তিনি মোট ১৩ জনকে হত্যা করেছিলেন।
১৯৭৬ সালের ৩ জুলাই রোল ম্যারিউন নামে চার বছরের এক শিশু
কন্যাকে যৌনাচার ও হত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শিশুটি যখন হারিয়ে
গিয়েছিল তখন শিশুটির খোজে পুলিশ প্রতি বাড়ি বাড়ি সন্ধান করে বেড়াচ্ছিল। তখন রোলের
বাড়ির বর্জ্য
নির্গত হওয়ার পাইপটিতে কিছু একটা আটকিয়ে সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রতিবেশীরা
সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে রোলের বাড়ি অনুসন্ধান করে এবং সেখানে তার
বাড়ির বর্জ্য নির্গত হওয়ার পাইপের মধ্য থেকে ম্যারিউনের দ্বিখণ্ডিত লাশ
উদ্ধার করে।
মেয়েটির শরীরের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয় রোলের ফ্রিজ থেকে এবং তার খণ্ডিত হাত উদ্ধার করা হয় গরম কড়াই থেকে। কারণ তখন রোল মেয়েটির হাতটিকে রোস্ট বানানোর জন্য রান্না করছিল। রোল আরও জানায় যে, সে মেয়েটির শরীরের কিছু অংশ পূর্বেই রান্না করে খেয়ে ফেলেছে।
মেয়েটির শরীরের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয় রোলের ফ্রিজ থেকে এবং তার খণ্ডিত হাত উদ্ধার করা হয় গরম কড়াই থেকে। কারণ তখন রোল মেয়েটির হাতটিকে রোস্ট বানানোর জন্য রান্না করছিল। রোল আরও জানায় যে, সে মেয়েটির শরীরের কিছু অংশ পূর্বেই রান্না করে খেয়ে ফেলেছে।
৮ জনকে হত্যার দায়ে ১৫১ দিন বিচারের পর রোলকে ১৯৮২ সালে আদালত
কারাদণ্ড দেয়।
১৯৯১ সালে রোল কারাগারে থাকা অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়।
ডেনিশ রাদের:
রাদের ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার। ১৯৯৪ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে সে কানসাসের ১০ ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। আমেরিকার এই সিরিয়াল কিলার ‘বিটিকে কিলার’ নামেও পরিচিত ছিল। রাদেরের সবচেয়ে সাহসী মনোভাব ছিল এই যে, সে কাউকে হত্যার পর তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে পুলিশ ও সংবাদ পত্রের কাছে চিঠি পাঠাতো। রাদের হত্যার সময় তার নিজস্ব অস্ত্র ব্যবহার করতো। সে তার প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডকে এক একটি প্রজেক্ট হিসেবে চিহ্নিত করতো। রাদের তার হত্যাকাণ্ডের যন্ত্রপাতির একটি বিশেষ ব্যাগ বানিয়েছিল, যাকে সে ‘হিট কিট’ বলতো। তার এই ব্যাগে বন্দুক, টেপ এবং হ্যান্ড-কাফ থাকতো। তার এক জাতীয় বিশেষ পোশাক ছিল যাকে সে ‘হিট ক্লথ’ বলতো। এই পোশাক পরে সে হত্যাকাণ্ড ঘটাতো। রাদের তার শিকারকে প্রথমে বেধে নিতো তারপর তাকে অত্যাচারের পর হত্যা করতো।
রাদের তার শিকারের গলা টিপে ধরতো যতক্ষণ না সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারপর সে শিকারের জ্ঞান ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতো। জ্ঞান ফেরার পর সে আবার তাকে গলা টিপে অজ্ঞান করতো। একের পর এক সে এভাবে তার শিকারের উপর অত্যাচার করতো যতক্ষণ না সে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। এই ভাবে সে তার শিকারের প্রতি অত্যাচার করতো এবং সে তার যৌন উত্তেজনাকে বৃদ্ধি করতো। শিকারটি যখন একের পর এক অত্যাচারে মারা যেত তখন সে হস্ত মৈথুন করতো এবং লাশের শরীরে তার বীর্যপাত ঘটাতো।
রাদের
ব্যক্তিগতভাবে পুলিশ ও সংবাদপত্রে বিদ্রুপাত্নক চিঠি লেখক হিসেবে পরিচিত ছিল।
১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বিটিকে’র সাথে তার যোগাযোগ ছিল। ১৯৭৪ সালে উইচিতা পুলিশ লাইব্রেরীতে দেওয়া তার চিঠিটা ছিল তার প্রথম লেখা। সেটি ছিল ওটিরো পরিবারকে হত্যার বিষয়ে লেখা। এছাড়াও আরও অনেক হত্যার বিষয়ে সফল লেখার ফলে তিনি বিটিকে’তে নিজেকে সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কিন্তু তার সকল লেখাই ছিল তার হাতে নিহতদের ঘটনা। ২০০৫ সালে কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করা হয়।
শীর্ষ সিরিয়াল কিলার খুনিরা (শেষ)
১৯৭৪ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত বিটিকে’র সাথে তার যোগাযোগ ছিল। ১৯৭৪ সালে উইচিতা পুলিশ লাইব্রেরীতে দেওয়া তার চিঠিটা ছিল তার প্রথম লেখা। সেটি ছিল ওটিরো পরিবারকে হত্যার বিষয়ে লেখা। এছাড়াও আরও অনেক হত্যার বিষয়ে সফল লেখার ফলে তিনি বিটিকে’তে নিজেকে সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কিন্তু তার সকল লেখাই ছিল তার হাতে নিহতদের ঘটনা। ২০০৫ সালে কুখ্যাত এই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করা হয়।
এরকম আরও পড়ুন:
শীর্ষ সিরিয়াল কিলার খুনিরা (পর্ব-১)শীর্ষ সিরিয়াল কিলার খুনিরা (শেষ)
সিরিয়াল কিলারদের উপর ধারাবাহিক লেখাগুলো খুব ভাল লাগছে। কোনও বাংলা ওয়েব সাইটে আজ পর্যন্ত এতো ভাল লেখা পায়নি সিরিয়াল কিলারদের সম্পর্কে। আপনার লেখাটাই বাংলায় প্রথম। ধন্যবাদ লেখককে।
উত্তরমুছুনধন্যবাদ তাসকিন আহমেদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
উত্তরমুছুন